চীনে কয়েক দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চল বন্যাকবলিত হয়ে পানিবন্দী ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন লাখো মানুষ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৪ জন।

আনাদোলু এজেন্সির শনিবারের (২৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশের অবস্থা বেগতিক। সেখানে ভারী বর্ষণ ও বন্যায় অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে উপকূলীয় প্রদেশটির হুলুদাওতে বন্যার কারণে এই অঞ্চলের হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবকাঠামোর ক্ষতি প্রায় ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ১ লাখ ৮৮ হাজারের বেশি মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত। তাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের কাজ চলছে।

তেমনি বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি ও বন্যা চীনের অর্থনৈতিক শক্তিঘর গুয়াংডং প্রদেশও লণ্ডভণ্ড করে। এ প্রদেশে রেল পরিষেবা এবং ফ্লাইট ব্যাহত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ৮৬ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সেসব এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন। কারণ, বন্যার কারণে অনেক এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। দুর্গম এলাকা হওয়ায় উদ্ধারকারীদের পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।

হুলুদাও সিটি, লিয়াওনিং প্রদেশ বন্যা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্যোগ ত্রাণ কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, এবারের ভারী বৃষ্টিপাত হুলুদাও শহরের, বিশেষ করে জিয়ানচাং কাউন্টি এবং সুইজং কাউন্টির অত্যন্ত মারাত্মক ক্ষতি করেছে। রাস্তা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বাড়ি, ফসল ইত্যাদি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পরিবার এবং ব্যক্তিদের কয়েক দফা খোঁজ করার পরে দুর্যোগের কারণে মৃত ১০ জন বাসিন্দার মরদেহ পাওয়া গেছে। মৃত অপরজন উদ্ধারকর্মী। তিনি আটকে পড়া মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে মারা গেছেন।

 

বার্তাবাজার/এসএম