ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমণ অবনতির দিকে যাচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের কারণে আখাউড়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও কসবা উপজেলার একটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে অন্তত ১২০০ পরিবার। পাশাপাশি আখাউড়ার খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বুধবার (২১ আগস্ট) রাত থেকে ঢলের পানি তীব্র গতিতে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে করে আখাউড়া উত্তর, দক্ষিণ, মোগড়া ও মনিয়ন্দ, কসবা উপজেলার বায়েকসহ মোট ৭টি ইউনিয়নের ৪০টিরও বেশি গ্রাম পানিবন্দী রয়েছে। এছাড়াও পানির নীচে তলিয়ে গেছে ৫ হাজার ৪৭৬ হেক্টর ধানি জমি, ৭৫০ হেক্টর শাকসবজির জমি, ২০০ হেক্টর ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন মাছের ঘের।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়। সকাল থেকে বন্দরের পাশ বয়ে যাওয়া খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থলবন্দর, বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর, কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেবনগরসহ অন্তত ৩৪টির বেশি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। ভেঙে যায় গাজীরবাজার এলাকার অস্থায়ী সেতু। ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, ১২০০ দুর্গত পরিবারের জন্য ১৫ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পানিবন্দী পরিবারগুলোকে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মনজুর রহমান জানান, বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি বাড়ছে। সকালে হাওড়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি নেমে গেলে সেই বাঁধগুলোকে মেরামত করা হবে।