সপ্তাহের টানা ভারী বর্ষনে দ্বিতীয় দফা ডুবলো চট্টগ্রাম নগরী। বৃষ্টির পানিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর। বেশিরভাগ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় বেড়েছে ভোগান্তি। গণপরিবহন চলাচলের সংখ্যা কম হওয়ায় আদায় করছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফলে কর্মজীবী মানুষ পড়েছে বিপাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল রাত থেকে টানা ভারী বর্ষনে নগরীর বহদ্দার হাট, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, মোহাম্মদপুর, জাকির হোসেন রোড, ওয়াসা, প্রবর্তক মোড়, কাতালগঞ্জ, ডিসি রোড, ফুলতলা, কে বি আমান আলী রোড, চকবাজার, বাকলিয়া, দেওয়ানহাট, মোগলটুলী, পাঠানটুলী, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোড, ওয়াপদা, বাদুরতলা, শুলকবহর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ সহ বেশ কিছু এলাকায় কোমর থেকে এক বুক পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

মুরাদপুর মোড়ে ব্যাংক কর্মকর্তা নাজিম জানান, প্রতিদিন মইজ্জার টেক থেকে বাইক নিয়ে অফিসে আসি। আজকে সড়কে পানির জন্য গনপরিবহন নিয়ে আসতে গিয়ে তিনটি গাড়ি পাল্টিয়ে মুরাদপুর পৌছেছি। ৩০ টাকার ভাড়ায় ৯০ টাকা খরচ হয়েছে।

চকবাজার কাঁচা বাজার এলাকার ব্যবসায়ী জসিম জানান, পানিতে দোকান অর্ধেক তলিয়ে গেছে। কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে যাবে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তা আলী আকবর খান ‘বার্তা বাজার’কে জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৪১.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিকালের দিকে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে আরও দুয়েকদিন বৃৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গত তিন বছরে বর্ষায় অরক্ষিত খাল-নালায় পড়ে মৃত্যু হয়েছে শিশুসহ ১০ জনের। নগরী মাথা ব্যাথা কয়েক দশকের জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি হল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ এর ৩৬টি খাল সংস্কার প্রকল্প। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। গত বছরের নভেম্বরে সংশোধনের পর প্রকল্প ব্যয় আরও ৩ হাজার ১০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কাজ করছে।