পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদের গাড়ি চালক পদে কর্মরত শাহিন প্রামাণিক ও ইমরান প্রামাণিক নামের দুই ভাইকে ভূমিদস্যু অ্যাখ্যা দিয়ে তাদেরকে চাকরি থেকে প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের কাশিনাথপুরের আহম্মদপুর অটো গ্যারেজে সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গ্রামের কয়েকশ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
অভিযুক্ত শাহিন প্রামাণিক ও ইমরান প্রামাণিক আহম্মদপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুস সালাম প্রামাণিকের ছেলে। শাহিন প্রামাণিক উপজেলা চেয়ারম্যানের এবং ইমরান প্রামাণিক ইউএনও’র গাড়ি চালক। তাদের বাবাও ইউএনও’র গাড়ি চালক ছিলেন।
কিরণ শেখ, আলিম খান, সবুজ মিয়া, সিরাজ শেখ নাসিম শেখ, পাভেল খান, হাজী আব্দুস সালামসহ ভুক্তভোগী এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন, ‘আব্দুস সালাম উপজেলা পরিষদের গাড়ির চালক পদে চাকরি করার অবস্থাতেই অবৈধভাবে তার দুই ছেলেকে একই উপজেলার একই পদে চাকরি দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও’র গাড়ি চালক হওয়ার সুবাদে তাদের নাম ব্যবহার করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেন।
গত ১৫ বছরে যেখানেই জমিজমা সমস্যা সেখানেই হাজির হয়ে তা দখল করে, নাশকতার মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, পরিষদের জন্মনিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজের ব্যাপারে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্ম করতে থাকেন। তাদের ভয়ে এতোদিন কেউ মুখ খুলতে সাহস করেনি। তাদেরকে অবিলম্বে চাকরি থেকে প্রত্যাহার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
তবে অভিযুক্ত ইমরান প্রামাণিক বলেন, ‘সরকার পতনের পর গত ৯ আগস্ট আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। এই জন্য আমরা থানায় মামলা করেছি। এই মামলা থেকে রেহায় পেতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মানববন্ধন করেছে তারা।
এব্যাপারে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, তাদের বিষয়ে কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি। কেউ যদি সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের কাছে অভিযোগ করেন তাহলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।
বার্তাবাজার/এসএম