গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী অনুপস্থিতিতে স্থবিরতা নেমেছে সিটি কর্পোরেশনের কাজে। কাজের গতি স্বাভাবিক করতে প্রতিষ্টানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামকে ‘আর্থিক ও প্রশাসনিক পূর্ণ ক্ষমতা’ দেওয়া হয়েছে । পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে এ দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
আদেশে আরো বলা হয়, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারণে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের অনেক মেয়র, প্যানেল মেয়ররাও ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। যোগাযোগ করেও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়। এ প্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে নেমে এসেছে স্থবিরতা এবং বিঘ্নিত হচ্ছে জনসেবা। তাই যেসব সিটি কর্পোরেশনে এমন পরিস্থিতি চলছে সে সব সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রাখতে সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে পুনরাদেশ না পাওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে ‘পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক’ ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ ১৪ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
খোজ নিয়ে জানাযায়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি সাধারণ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর রয়েছেন ৫৫ জন। এর মধ্যে ১২ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার খবর পাওয়া গেছে। তবে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী এখনো পর্যন্ত প্রধান কার্যালয়ে আসেননি। তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।