নীলফামারীর ডিমলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তিস্তা নদীতে পাথর উত্তোলনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একটি চক্র। সারাদিনে ইঞ্জিন চালিত অর্ধশত নৌকায় করে পাথর উত্তোলন করছে চক্রটি। বিশেষ করে উপজেলার তেলির বাজার (চেয়ারম্যান পাড়া), ছোটখাতা গোরিংসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব পাথর ক্রয় করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কর্মসংস্থান না থাকায় স্থানীয়দের অভাব অনটনে পরে অনাহারে দিনাতিপাত করতে হবে বলে গুজব ছড়িয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি চক্র। তাদের মন্দা কাটাতে তিস্তা নদী হতে পাথর উত্তোলন ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। আর এই গুজবকে পুঁজি করে চক্রটি ৫০-৬০টির মতো ইঞ্জিন চলিত নৌকা ও কোদাল দিয়ে শতাধিক মানুষ তিস্তা নদীর চরখড়িবাড়ী, উত্তর খরিবাড়ী, দোহল পাড়া, দক্ষিণ খরিবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথর উত্তোলনের কাজ শুরু করেছে গত রবিবার সকাল থেকে। এসব নৌকায় পাথর বোঝাই হলে নিয়ে আসা হয় নদীর তীরে। তেলিবাজার গোরিংপাড় (চেয়ারম্যান পাড়া) এলাকায় তিস্তা নদীর তীরে ফেরা নৌকা থাকে পাথর ক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা। আর প্রতি দিনে আনুমানিক ১২০-১৩০ নৌকা পাথর উত্তোলন করছে শ্রমিকরা। আর এসব পাথর নদীর ঘাট থেকে বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রক্টর ও অটোরিক্সায়।
পাথরবাহী কয়েকটি ট্রাক্টর ও অটোভ্যান চালকের সাথে কথা হলে তারা জানান, পাথর ব্যবসায়ী আয়নাল হক, বাবু, আবু হানিফ, মিষ্টার, জামিনুর, ছইাদার রহমানসহ বিভিন্ন জনের কাছে দু’দিন ধরে পাথর পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে ঘাটে উপস্থিত পাথর ব্যবসায়ী আয়নাল হক (২৭) বলেন, বিভিন্ন স্থানে পাথর উত্তোলন হচ্ছে সেখানে আপনারা চুপ কেনো? আমাদের চেয়ারম্যান-মেম্বার, থানা পুলিশ, ইউএনও স্যার এসব দেখবেন। কোদাল দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন গরীব মানুষ পাথর তুলছে। তাতে সমস্যার কোনো কিছু দেখতেছি না। আপনাদের কে এখানে ডাকছে?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে গ্রামীণ সড়কে অবাধে চলছে পাথর ও বালুভর্তি ট্রাক্টরগুলো। এমনিতেই তো বৃষ্টি বাদলের দিন এর উপর মাত্রাতিরিক্ত লোড বহনকারী এসব গাড়ী চলাচলে ভেঙ্গে যাচ্ছে চলাচলের রাস্তা ঘাট।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যেই আমাদের লোক পাঠিয়ে পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে।