ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর দলে দলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন। এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১০ জুন) সকালে ডিএমপির অনুমতি দেওয়া সমাবেশস্থল রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনে এ চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেলা ১১টা থেকে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। সমাবেশস্থলের ভেতরে ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর কয়েকশ নেতাকর্মী হাজির হয়েছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে দলটির নেতাকর্মীদের উপস্থিতির সংখ্যা আরও বাড়ছে।

এদিকে জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি যেন না হয়, সেজন্য সমাবেশস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের ভেতরে ও বাইরে থানা পুলিশের পাশাপাশি রিজার্ভ পুলিশ সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছেন।

এ বিষয়ে সমাবেশস্থলে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (মিরপুর পুলিশ লাইন্স) মো. আরিফুল বলেন, জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে আমরা কাজ করছি। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা ঢাকা মহানগরবাসীর যেখানে যেমন প্রয়োজন সেভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। যেকোনো জায়গায় আমাদের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। কোথাও প্রোগ্রাম হলেও আমাদের এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করেও আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করার জন্য শুক্রবার (৯ জুন) রাতে ডিএমপি জামায়াতকে মৌখিকভাবে অনুমতি দেয়। জামায়াতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ অনুমতি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শুক্রবার রাতে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরে প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান জানান, জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। শনিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

পরে শুক্রবার রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে জামায়াতকে সমাবেশ করার জন্য লিখিত নয়, মৌখিক অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আপনারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করতে পারেন।

কোনো শর্ত দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু লিখিতভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি, তাই শর্তের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। লিখিত অনুমতি হলে শর্তের বিষয়টি থাকত। তবে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

বার্তাবাজার/এম আই