নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) প্রশাসনের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবি জানিয়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেও নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ করেননি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপাচার্যের কক্ষের সামনে নামফলক থেকে নাম সরিয়ে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগ চেয়ে আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক, আইকিউএসির পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালকসহ পাঁচ আবাসিক হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করলেও পদত্যাগ করেননি প্রশাসনের শীর্ষ পদে থাকা ৪ ব্যক্তি।
এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ ছাড়াও প্রতিবাদস্বরূপ তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের কক্ষের প্রধান গেটে তালা লাগিয়ে দেয় এবং পাশাপাশি উপাচার্যের নামফলক থেকে নাম সরিয়ে ফেলে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক বনি ইয়ামিন বলেন, ‘আপনারা জানেন এই খুনি প্রশাসন নির্লজ্জের মতো। তাদের ছাত্রসমাজ ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেওয়ার পরও তারা নির্লজ্জের মতো পদত্যাগ করেননি। আমরা ছাত্রসমাজ তাদের দেখে নেবো। আমরা বলতে চাই, আগামীকাল (শনিবার) বিকাল ৪টার মধ্যে ভিসিও অন্যান্যরা যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে আমরা তাদের অবাঞ্ছিত ও বহিষ্কার ঘোষণা করবো।’
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোবিপ্রবির আরেক সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মাহদী বলেন, ‘ভিসি ও অন্যান্যরা যারা এই আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন তারা নিজেদের রক্ষা করার জন্য অনলাইন ক্লাসের মতো এই হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই আমরা এই হঠকারিতামূলক সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অন্যায় ও অবিচার আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিরোধ করবো এবং আপনারা কেউ কারও প্ররোচনার শিকার হবেন না। যদি শিকার হন তাহলে আপনাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বয়কট করবে।’