বিএনপি বা তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল কেউই আমার বাসায় হামলা ও ভাংচুর করেনি বলে জানান মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সিকদার। গত ৫ আগষ্ট সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর সন্ধ্যার পর সাবেক এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতির বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালায় একই এলাকার গাজী বাড়ির লোকজন। তবে এলাকার কিছু সুবিধাভোগী মানুষ প্রোপাগান্ডা ছড়ায় যে ইউনিয়ন যুবদল ও কৃষকদলের নেতাকর্মীরা সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফ সিকদারের বাড়িতে হামলা চালায়। কিন্তুু এলাকাবাসী ও লতিফ সিকদারের পাশের বাসার লোকজন জানায় বিএনপি বা তার অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মীই এ হামলা চালায়নি।

সাবেক ইউনিয়ন সভাপতি লতিফ সিকদারের চাচাতো বোন নাসিমা বেগম জানান, গত ৫ আগষ্ট সন্ধ্যার পর বেশ কিছু লোক দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি নিয়ে লতিফ ভাইয়ের বাসায় হামলা ও ভাংচুর চালায়। তবে সে সময় বিএনপির কোন লোকজন দেখতে পাইনি। এছাড়া লতিফ ভাইয়ের সাথে এলাকার বেশ কিছু মানুষের সাথে পারিবারিক ভাবে ঝামেলা আছে আর তারাই সুযোগ বুঝে এই হামলা ভাংচুর চালায়।

মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী শহিদুল গাজী জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর গাজী বাড়ির বেশকিছু লোক লতিফ সিকদারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। হামলার আগে এনায়েত গাজীসহ বেশ কয়েকজন সিকদার বাড়ির সামনে থেকে আমাকে চলে যেতে বলে। চলে যাওয়ার সময় ব্যাপক ভাংচুরের শব্দ পাই।

হামলা ও ভাংচুরের ভুক্তভোগী মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ লতিফ সিকদার প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, আসলে বিএনপি বা তার অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাই আমার বাসার উপর হামলা ও ভাংচুর চালায়নি। স্থানীয় গাজী বাড়ির লোকজনের সাথে আমার পূর্বে বেশকিছু বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিলো। আর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে বিদেশে যাওয়ার পরই সেই সুযোগে গাজী বাড়ির রাসেল গাজী , হাবিব মাদবর, শাহ আলম গাজী, মোশারফ গাজী, দেলোয়ার গাজীর ছেলে জিয়া, বাদলসহ বেশ কয়েকজন আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মশিউর রহমান বলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সেন্হাংসু সরকার কুট্টি দার দিক নির্দেশনায় মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি লতিফ সিকদারের বাসা পরিদর্শনে এসে এলাকাবাসীর ও পাশের বাসার লোকজনের কাছে জানতে পারি বিএনপি বা তার অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মীরা এই হামলা ও ভাংচুর চালায়নি। আসলে স্থানীয় কিছু লোকজনের সাথে লতিফ সিকদার সাথে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব থাকায় তার এই হামলা ও ভাংচুর চালায়।

এসময় পটুয়াখালী জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব তরিকুল ইসলাম ইভান সিকদার, মাদারবুনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী মজিবর সরদারসহ বেশকিছু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।