আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থমকে যায় সব থানার কার্যক্রম। পুলিশের ওপর হামলা হয়, লুটপাট-অগ্নিসংযোগ করা হয় থানায় থানায়। আতঙ্কে গা-ঢাকা দেন পুলিশ সদস্যরা। প্রায় চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে গাজীপুরের বিভিন্ন থানার কার্যক্রম।

গাজীপুরে থানা ও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আনসার সদস্যদের। কর্ম-বিরতিতে রয়েছে জেলার কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর ও জয়দেবপুর থানা পুলিশ।
গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম বার্তা বাজারকে জানান, ‘গাজীপুর জেলার থানা গুলোর কার্যক্রম এখনো চালু হয়নি। থানার কার্যক্রম চালু করতে চেষ্টা করছি।’

আনসার সদস্য সাইদুল ইসলাম রনি বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব দায়িত্ব পালন করছি। জনগণের পাশে থেকে জনবাহিনী হিসেবে এ বাহিনী সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় নিয়োজিত রয়েছি।’

পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা ও থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ সহ নানা ঘটনায় গাজীপুর মহানগরের গাছা থানা, কাশিমপুর থানা, বাসন থানা, কোনাবাড়ী থানা সহ জেলার একাধিক থানা পুলিশ শূণ্য হয়ে পড়েছে।

এদিকে পুলিশের উপস্থিতি না থাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। জেলায় চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।