চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য নুরুল আজিম রনি গোপনে দেশ ছেড়ে পালানোর সময় বিমান বন্দরে আটক হয়েছেন।

শুক্রবার (৯আগষ্ট) রাত পৌনে ১টা নাগাদ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চট্টগ্রামের সহ-সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন- এই মূহূর্তে রনি চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবস্থান করছে। চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের ওপর ঘটে যাওয়া নারকীয় হামলা ও হত্যার নেপথ্যে মূল কারিগর এই রনি। যেভাবেই পারেন তাকে ধরার চেষ্টা করুন।

সূত্র জানায়, গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে শিক্ষার্থীদের ডাকা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের বিরুদ্ধে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেন রনি। ওইদিন সকাল থেকে ষোলশহর রেলস্টেশনে বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর বাবর ও রনি অস্ত্রধারী বাহিনী নিয়ে অবস্থান নেন। পরিস্থিতি বুঝে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মুরাদপুর এলাকায় গিয়ে সমাবেশ করেন। সমাবেশ চলাকালে রনি ও বাবরের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের ছুঁড়া গুলিতে চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমদ শান্ত ও ফার্নিচার মিস্ত্রী মোহাম্মদ ফারুক প্রান হারায়।

রনি মূলত সাবেক সিটি মেয়র মরহুম আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর অনুসারী ছিলেন। তার মৃত্যুর পর পরবর্তীতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীর আনুসারী ছিলেন।