বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচন হবে না। ‘১৪-১৮ সালে ভোট দিতে পারেনি জনগণ। সামনের নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। কোনো নির্বাচন হবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে না হলে।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলের আগে বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোসহ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদল আহ্বায়ক মো. সুমন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ও র্যালিতে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির কেন্দীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, মজিবুর রহমান সারোয়ার, এড. শামসুল রহমান শিমুল বিশ্বাস, এড. আব্দুস সালাম আজাদ, আমিনুল হক, কামরুজ্জামান রতন, মীর সরাফত আলী সপু, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ইশরাক হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, তানভীর আহমেদ রবীন, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আলম মোল্লা, শরিফুল ইসলাম আউয়াল, সিরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, আনোয়ার হোসেন খান, সিদ্দিকুর রহমান মিন্টু, জিল্লুর রহমান খান ও আরিফ হোসেন খান রনি সহ প্রমুখ।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তা না হলে কোনো নির্বাচন হবে না বলে আবারও হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০১৪-১৮ সালের মতো আবারও একতরফা নির্বাচনের জন্য সরকার নির্বাচনী খেলা খেলতে চায়, জনগণ তা আর হতে দেবে না। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিও জানান তিনি। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য সরকারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করেন বিএনপি মহাসচিব।
বার্তাবাজার/এম আই