বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশ সংস্কারে নামের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাকার রাজপথ থেকে শুরু করে প্রান্তিক গ্রাম পর্যন্ত সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্ররা। ট্রাফিক, ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, যে কোনো প্রকার অপ্রতিকার ঘটনা ঠেকানো সহ নানা কাজ করছে তাঁরা।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকাল থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজার, রাস্তা, দোকান সহ নানা স্থান পরিস্কার করতে দেখা যায় কলাপাড়াস্থ দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্মিলিতভাবে কাজ করছে।

তাদের এ কার্যক্রমে স্বস্তিতে সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। আবুল বাসার নামের এক দোকানী জানান, আমরা কোনো প্রকার হানাহানি বা বিশৃঙ্খলা চাইনা, আমরা ছাত্রদের এই দেশ গঠনের কাজকে ভুলবো না। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমরা সবসময় তাদের পাশে থাকতে চাই।

স্থানীয় শিক্ষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন, দেশবরেণ্য ইসলামী বক্তা ও লেখক হাবিবুর রহমান মিছবাহ (কুয়াকাটার হুজুর), কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সিএম সাইফুর রহমান খান ঈসা, কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান সহ অনেকে।

এছাড়াও শতাধিক শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি করেন, ঢাবি সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম সৈকত, রফিকুল ইসলাম, রাকিব হাসান, ববি সমন্বয়ক খায়রুল ইসলাম সোহাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মো. ইমরান হোসেন, সাত কলেজ সমন্বয়ক জোবায়ের ইসলাম তালহা, মোহাম্মদ মহিমসহ কলাপাড়াস্থ সারাদেশের শিক্ষার্থীদের অনেকে।

শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং স্থানীয় মানুষকে নিরাপদে রাখা এবং পরিষ্কার থাকারও প্রতিশ্রুতি দেন।