শুক্রবার সকাল ৮ঘটিকায় বিমান যোগে ঢাকা হযরত শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরন করবেন রাজনীতিবীদ ড. ফয়জুল হক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে, শেখ হাসিনার পতনের জন্য বিদেশে থেকে অনলাইনে, বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও বিদেশী রাষ্ট্রের কাছে বক্তব্য পেশ করে লড়াই করে গিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি বাংলাদেশে আসতে পারেন নি। এমনকি তাকে একবার সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশে ২০ ঘন্টার জন্য এয়ারপোর্টে জিম্মি রেখে ফেরত পাঠানো হয় মালয়েশিয়াতে।আরেকবার তাকে কম্বোডিয়াতে গুম করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। সর্বশেষ তাকে মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় থেকে বার বার রিপোর্ট করা হয় গ্রেফতার করার জন্য। বিভিন্ন ভাবে হেনেস্থার শিকার হন তিনি।
ড. ফয়জুল হক তরুন নেতৃত্ব তৈরিতে সব সময় ভুমিকা পালন করেছেন। ছাত্র জীবনে মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট সোসাইটির ভিপি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। মালয়েশিয়ার বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের সংগঠন বিএসইউএম এর সভাপতি ছিলেন তিনি। বাংলাদেশে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা অবস্থায় তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর কর্নফুলি রেজিমেন্টের বিএনসিসির ক্যাডেট এ্যাডজুটেন্ট এবং সমগ্র বাংলাদেশের ক্যাডেট কোয়াটার মাষ্টার ছিলেন। বর্তমানে তিনি ড. ফয়জুল হক ফাউন্ডেশন ও কায়েদ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। পরিবারসহ দির্ঘদিন দেশের বাহিরে থেকে দেশের জন্য লড়াই চালানো এই ড. ফয়জুল হক এখন আবার দেশ সেবায় এগিয়ে যেতে চান।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার পতনের জন্য তিনি মাহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন। তিনি ধন্যবাদ জানান প্রিয় বাংলাশের শিক্ষার্থী, বিদেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা, দেশের মা বোনদের প্রতি। বাংলাদেশকে নতুন করে স্বাধীনতা উপহার দেওয়ায় তিনি সকল শহীদদেরকে স্বরন করেন। যারা ২০১৩ সালের পরে ফাসিতে মৃত্যু হওয়া এবং বর্তমানে শেখ হাসিনার হাতে হত্যা হওয়া সকল শহীদদেরকে। ড. ফয়জুল হক মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ও পোষ্ট ডক্টোরাল ফেলো সম্পন্ন করেন। দলমত নির্বিশেষে সকল যুবক তরুণদের অনুপ্রেণার বাতিঘর হচ্ছেন এই ড. ফয়জুল হক। ইতোমধ্যে জানা গিয়েছে ঢাকা এয়ারপোর্টে শুক্রবার হাজারো জনতা ভীর করবেন ড. ফয়জুল হক কে রিসিভ করতে।