বাংলাদেশকে অবশ্যই গণতন্ত্রের মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার যে সিদ্ধান্তই নিক না কেন, তাদের গণতান্ত্রিক নীতিকে সম্মান করতে হবে। আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে হবে এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যগের পর বাংলাদেশ নিয়ে এসব কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের অ্যানাপলিসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর শেখ হাসিনার দেশত্যাগের ঘটনায় শুরু হওয়া সহিংস ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে দেশটি। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ধর্মীয় বা রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর হামলাসহ বাংলাদেশে সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা পুলিশ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সহিংসতার রিপোর্ট নিয়েও সমানভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষ থেকে শান্ত হওয়ার জন্য আমাদের আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বন্ধু এবং অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে।
প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে তাঁকে প্রধান করার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রস্তাবে সম্মতি দেন তিনি। আজ বুধবার কিংবা কাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে ড. ইউনূস দায়িত্ব নিতে পারেন বলে জানা গেছে। তবে সরকারের অন্য উপদেষ্টারাও একই সঙ্গে দায়িত্ব নেবেন, নাকি পরে দায়িত্ব নেবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।