বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডাকা সোমবারের (৫ আগস্ট) গণমিছিল প্রত্যাহার করেছে দলটি। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) দলের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাইর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, কে এম আতিকুর রহমান, আহমদ আবদুল কাইয়ুম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা নুরুল ইসলাম আল আমিন, মাওলানা দেরাওয়ার হোসাইন সাকী, জি এম রুহুল আমিন, হাফেজ মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার।

ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলায় অনেকের মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।

রোববার এক বিবৃতিতে মহাসচিব বলেন, আওয়ামী সরকারের অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আজও প্রায় একশোর মতো মানুষ নিহতের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান যদি আজকে আন্দোলনকারীদের প্রতিহতের ঘোষণা না দিতেন তাহলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটত না।

ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশ অগ্নিগর্ভে নিপতিত। সর্বত্র মজলুম মানুষের আহাজারি। সন্তানহারা মায়ের আর্ত্মনাদ, বোনহারা মা-ভাইয়ের আহাজারি, আহত হয়ে হাসপাতালে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে কাতরানো আকাশ-বাতাস ভারী করে তুলেছে।