জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এই সংঘর্ষে মেহেদী হাসান (২৫) নামে এক ছাত্রলীগকর্মী নিহত হয়েছেন।

আন্দোলনকারীরা সদর উপজেলা পরিষদের সামনে দুটি গাড়িতে আগুন দেয়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সময় অফিসে অবস্থান করা জয়পুরহাট-১ আসনের এমপিসহ অন্তত ৩৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন এবং পুলিশের গুলিতে ৫০জন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার এস এম গালীব আনোয়ার জানান, পুলিশের গুলিতে মেহেদী হাসান নিহত হয়েছেন। তিনি পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মজিদুলের ছেলে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম জানান, মেহেদী হাসান নামে এক ছাত্রলীগকর্মী আন্দোলনকারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের হামলা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় ১২জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সময় ছবি তুলতে গেলে একুশে টিভির সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম (৪৮) ও দৈনিক ইত্তেফাকের জয়পুরহাট প্রতিনিধি শাহাদুল ইসলাম সাজু (৫৫) হামলার শিকার হন। তাদের লাঞ্ছিত করা হয় এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গুরুতর আহত শফিকুলকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এমপি সামছুল আলম দুদু বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন, জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারক।