শরীয়তপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক অবরোধ করার সময় স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদেরকে মারধর করার পরে শিক্ষার্থীরা তাদেরকে পাল্টা ধাওয়া দিলে চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
রোববার (৪ আগস্ট) শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের কাশিমপুর মোড়ে এঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সারাদেশে চলছে এক দফা দাবি আদায়ের অসহযোগ আন্দোলন। অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে বেলা ১১ টার দিকে শরীয়তপুরের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনতা শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়কের কাশিমপুর মোড় অবরোধ করলে ডিএম খালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু বেপারী ও সখিপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান সোমেলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনকারী জনতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর শিক্ষার্থীরা চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাল্টা ধাওয়া দিলে চেয়ারম্যানসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। এসময় দুর্বৃত্তরা প্রায় ১০ টি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে বেশ কিছু দোকানপাটে হামলা চালায়। এরপর পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ সময় আন্দোলনকারীরা শরীয়তপুর-চাঁদপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে সড়কের দুইপ্রান্তে যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাবেয়া ইসলাম নামে এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, ঢাকাসহ সারাদেশে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের হত্যাসহ হামলার ঘটনায় আমরা ৯ দফা দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু সরকার আমাদের দাবি না মেনে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তাই এখন আমরা এক দফা দাবিতে অসহযোগ আন্দোলন করছি। ছাত্রলীগসহ চেয়ারম্যান আমাদের ওপর হামলা করেছে, আমরা প্রতিরোধ করেছি। এরপর তারা পালিয়ে চলে গেছে।
আরিফ শিকদার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নেমেছি। সরকার পদত্যাগ করার আগ পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। এছাড়াও আজ আমাদের বোনদের ওপর চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে। সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করে আমরা আমাদের দাবি আদায় করব।
বিষয়টি নিয়ে ডিএখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন হক আবু বেপারী বলেন, আমরা কাশিমপুর মোড়ে বসেছিলাম। এসময় ছাত্ররা এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আমাদের ১৫ টি মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ৩ টি দোকান ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও আমাদের যুবলীগ মহিলালীগ নেত্রীসহ ৫ জন আহত হয়। শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমরা তাদেরকে মারিনি।
সখিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।