পটুয়াখালীতে স্ত্রীর কাছে মোবাইল কেনার টাকা চেয়ে ঝগড়া হয় স্বামীর সঙ্গে পরে সকালেই স্ত্রী রুমা আক্তার (১৯) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সদর পুলিশ।

৯ জুন শুক্রবার সকালে পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের পল্লী বিদুৎ এলাকার বাবার বাসা থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রুমা আক্তার মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পাঠুখালী এলাকার আরাফাত মৃধার স্ত্রী এবং পল্লী বিদুৎ এলাকার বাসিন্দা খোকন খাঁ এর মেয়ে।

এ ঘটনায় বর্তমানে স্বামী আরাফাত মৃধা ও তার বোন আইমান পলাতক রয়েছে।

রুমার মা মরিয়ম বেগম জানান, ৮ জুন রুমার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। তাই মঙ্গলবারই রুমা ও তার ননদ আইমান আমাদের বাড়িতে আসেন। পরে বুধবার আসেন জামাই আরাফাত মৃধা এবং গত রাতে রুমার কাছে মোবাইল কেনার টাকা চেয়ে ঝগড়া করেন জামাই আরাফাত মৃধা। পরে রুমা আমাদের কাছে টাকার কথা জানালে আমাদের কাছে এখন টাকা নেই বলে জানিয়ে দেয়। আজ সকালে পাশা নার্সিং ইনস্টিটিউটে রান্না করতে খুব ভোরেই যাই আমি। সকাল আটটার দিকে জামাই রুমার মায়ের ফোনে কল দিয়ে বলে আমরা বাড়ি যাচ্ছি এবং আপনার মেয়ে আপনাদের বাড়িতেই আছে। তখন রুমার মা তাদের যেতে নিষেধ করে এবং বাসায় এসে বাসার দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে রুমা তাদের সাথে গেছে কিনা সেটা জিজ্ঞেসা করে। তখন জামাই বলে আপনার মেয়ে বাসাই আছে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলে রুমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় মা মরিয়ম বেগম এবং তার ডাক চিৎকারের এলাকার লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়।

রুমার বাবা খোকন খা বলেন, সকালে চা খেতে রাস্তায় যাই। পরে বাসায় এসে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে আত্নহত্যা করেনি আমার মেয়েকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।

পটুয়াখালী সদর থানার এসআই বিপুল হাওলাদার বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছেনা এটি হত্যা না আত্নহত্যা।

বার্তাবাজার/রাআ