সিরাজগঞ্জে এক দফা দাবিতে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় সাবেক এমপিসহ তিন এমপির বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন সাধারণ জনতা এবং জেলা বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
নিহতরা হলেন- শহরের পৌর এলাকার মাসুমপুর মহল্লার মাজেদ রহমানের ছেলে রঞ্জু রহমান। তিনি জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক। এছাড়া শহরের গয়লা মহল্লার গনজের আলীর ছেলের সুমন শেখ (২৮) ও একই মহল্লার মৃত আসু মুন্সীর ছেলে আবদুল লতিফ (৪২)।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। কয়েক ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদস্য সদস্য জান্নাত আরা হেনরি, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাত মুন্নার বাড়ি, সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য চয়ন ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ শহরের বাজার স্টেশন, এসএস রোড, মুজিব সড়ক, রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এছাড়াও ৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পিছু হটলে পুরো শহর দখল করে নেয় আন্দোলনকারী ছাত্র ও বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এছাড়াও জেলা জজ আদালত, এসিল্যান্ড অফিস, মুক্তির সোপান স্মৃতিসৌধ, শিল্পকলা একাডেমিসহ শহরের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিকে, এনায়েতপুর থানা, হাটি কুমরুল হাইওয়ে থানা, বেলকুচি ও উল্লাপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের ডা. রতন কুমার জানান, এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ১৪ জন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন গুলিবিদ্ধ। আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনে কয়েকজন নিহত হয়েছে। এখনও আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।