বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে দ্বিতীয় দিন শেষেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে ভারত। ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথের জোড়া সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে তুলেছে ৪৬৯ রান। দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত ভারতের প্রথম ইনিংসের রান ৫ উইকেটে ১৫১। এখনো পিছিয়ে ৩১৮ রানে।

 

টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে ভারতের এভাবে পিছিয়ে পড়ার পেছনে অনেকেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে না খেলানোর দায় দেখছেন। প্রথম দিনই সুনীল গাভাস্কার, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার থেকে রিকি পন্টিং, ব্রাড হাডিনরা পর্যন্ত অশ্বিনকে বসিয়ে রাখা ভুল সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেন। এবার এ বিষয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে ইঙ্গিত করে খোঁচা দিয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতের একাদশ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সৌরভেরই সাবেক সতীর্থ ও ভারত দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

 

ম্যাচের প্রথম দিনই হেড, স্মিথদের স্বচ্ছন্দ ব্যাটিংয়ের সময় একাধিকবার অশ্বিনের মতো একজন অফ স্পিনারের অনুপস্থিতির কথা বলেছেন ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষকেরা। দ্বিতীয় দিনে ভারতের ব্যাটিংয়ের সময়ও উঠে আসে অশ্বিনের নাম। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৭১ রান তুলতেই রোহিত, শুবমান গিল, চেতেশ্বর পুজারা ও বিরাট কোহলির উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত।

 

বিপর্যয়ের ওই সময়ে অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে হাল ধরেন রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনের ৭১ রানের জুটি ভেঙে যায় জাদেজার বিপক্ষে নাথান লায়নের দারুণ এক ডেলিভারিতে। অফস্টাম্পের বাইরে ফেলা ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে প্রলুব্ধ হয়ে খেলতে গিয়ে প্রথম স্লিপে স্মিথের ক্যাচ হন জাদেজা।

 

লায়নের ওই ডেলিভারি দেখে ভারতের জন্য অশ্বিনের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেন ধারাভাষ্যে থাকা সৌরভ, ‘কে বলে সবুজ পিচে অফ স্পিনাররা খেলতে পারে না? এখানে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে নাথান লায়নকে দেখুন। টেস্টে ৪ শর বেশি উইকেট আছে ওর। এই মুহূর্তে সে ভারতের সেরা ব্যাটসম্যানটিকে আউট করে দিল। এই বলে টার্ন, বাউন্স দুটোই ছিল।’

 

এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপে ৪ বাঁহাতি থাকার পরও অশ্বিনের মতো অফ স্পিনারকে না খেলানোর সমালোচনা করেছিলেন সৌরভ। স্টার স্পোর্টসে ধারাভাষ্য দেওয়া সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, ‘অশ্বিনের মতো ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়কে না নিয়ে ভারত একটা সুযোগ নষ্ট করেছে। তাঁকে খেলালে ভালো একটি সংযোজন হতে পারত। কারণ বোলিংয়ে জাদেজা অপর প্রান্ত থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে না। জাদেজা একপাশ থেকে চাপ তৈরি করছে ঠিকই, কিন্তু অপর পাশ থেকে রান আটকানোর মতো কেউ নেই।

 

ই.এক্স/ও.আর/বার্তা বাজার