শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অস্থির সময় পার করছে বাংলাদেশ। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় বিপুল হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষও।
দাবি উঠেছে- দেশের হয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারদের এই আন্দোলনে শামিল হওয়ার। ক্রিকেটারদের মধ্যে অনেকেই এই আন্দোলনে নিজেদের ভাবনা জানালেও এখনো এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি বাংলাদেশ ক্রিকেটের বড় দুই তারকা ও ক্ষমতাসীন সরকারি দলের দুই সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে শনিবার যুক্ত হয়েছেন ক্রীড়া সাংবাদিকরাও। এতদিন পর্যন্ত আন্দোলন নিয়ে চুপ ছিলেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলও। তবে এবার শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন তিনি। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা মোহাম্মদ আশরাফুল এবার সরাসরিই পক্ষ নিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের। ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি চাই, শুধু কোটার বৈষম্য নয় বরং দেশে বিরাজমান সকল সংকট ও বৈষম্যে মুক্তি পাক।’
সাবেক এই অধিনায়ক সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের যারা ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আজ আপনি যতবড় ক্রিকেটার বা স্টারই হোন না কেন, আপনার দেশ, আপনার দেশের শিক্ষার্থী তথা তরুন সমাজ সর্বোপরি দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ আপনার অহংকার আর তাদের সাপোর্ট ও ভালোবাসাই আজ আপনি তারকা, মহাতারকা। অনেককেই দেখলাম শিক্ষার্থীদের হতাহতে, গ্রেপ্তারে ও মৃত্যুতে সহানুভূতি, সমবেদনা জানিয়ে পাশে থাকার ডিরেক্ট/ইনডিরেক্ট পোস্ট দিয়েছেন আমাদের ক্রিকেটাঙ্গন থেকে। তাদেরকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ।’
আশরাফুল এরপরেই যোগ করেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বড়বড় তারকারা যারা এখনো আপনাদের সাথে যুক্ত হননাই, তারা হয়তো বিশেষ অসুবিধার মধ্যেই আছেন, হয়তোবা যোগদিবেন অতি দ্রুতই আপনাদের সাথে, আপনাদের নৈতিক আন্দোলনের সাথে।’
নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে সাবেক এই অধিনায়কের বক্তব্য, ‘আমার ব্যক্তিগত অবস্থান, বৈষম্যবিরোধী ন্যায়ভিত্তিক চলমান ছাত্র আন্দোলনের (পরিস্কারভাবেই) পক্ষে আছি, ছিলাম ও থাকব ইনশাআল্লাহ।’
নিজের সেই পোস্টে আশরাফুল আরও যোগ করেন, ‘আইনশৃংখলা রক্ষায় নিয়জিত ভাইদের প্রতি অনুরোধ নিরীহ কারো উপর অধিক বলপ্রয়োগ করবেন না: কারন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আপনারই ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বা আপনার মতই অন্য কারো স্বজন। নিরপেক্ষ তদন্তের অধিনে – যে বা যারাই খুন, হত্যাযজ্ঞ ও স্থাপনা ধ্বংসে নিয়োজিত ছিল তাদের সঠিক ও দ্রুতসময়েই দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত হউক।’