বরিশালে হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া সেখানে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যের পোশাক খুলে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি এসব ঘটনায় তারা যুক্ত নয়।

জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে প্রথমে সরকারি বিএম কলেজ ও পরবর্তীতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা অবরোধ করে। বিক্ষোভকারীরা বিকাল ৩টার দিকে নগরীর চৌমাথা এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে। কর্মসূচী শেষের দিকে হঠাৎ তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের খাবার বহনকারী একটি পিকআপ ভাংচুর করে তাতে আগুণ দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃষ্টির মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের খাবারের একটি গাড়ি চৌমাথা এলাকা দ্রুত গতিতে পার হওয়ার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা গাড়িটি ঘিরে ধরলে অতি উৎসাহী কয়েকজন ভাংচুর শুরু করে। গাড়িতে থাকা পুলিশ সদস্যরা দৌড়ে পাশের একটি মসজিদে আশ্রয় নিলেও ৪ এপিবিএন সদস্য আটকা পড়ে। তাদের মারধর করে পোশাক খুলে রাখা হয়। পরে তাদের পোশাক সড়কের উপরে বিদ্যুতের লাইনে ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী একটি ট্রাফিক পুলিশবক্সেও ভাংচুর করা হয়।

আহত এপিবিএন সদস্যরা হচ্ছেন এসআই নেয়ামত খান, কনস্টেবল সিফাত, হাসনাত ও রিয়াজ। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সিফাতকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী চলাকালে পুলিশের একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে আসলে তাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। তবে শিক্ষার্থীরা পুলিশের গাড়ি ভাংচুর কিংবা মারধরের ঘটনায় যুক্ত নয় বলে দাবি তাদের।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানান, বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন, যে শিক্ষার্থীরা এ কর্মকাণ্ড করেনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এএসআই নেয়ামত খান জানান, ছাত্ররা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের গাড়িটি সড়কের পাশে চাপিয়ে দেয় চালক। তবে কিছু ছাত্র আমাদের গাড়ি দেখে হইহুল্লর শুরু করলে, গাড়িটি রেখেই চালক দৌড় দেয়। তখন আমরা আটকা পড়ে গেলে কয়েকজন লোক আমাদের মারকাজ মসজিদের ভেতরে আশ্রয় দেয়।