সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন পৌরবাসী।
বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে ভারী বর্ষণের ফলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ১ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস।
এদিকে সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান, মুন্সীপাড়া, মুনজিতপুর, কাটিয়া, সুলতানপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।
এতে সকালে বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন ঘর থেকে বের হওয়া শিক্ষার্থী, অভিভাবক, কর্মস্থলগামী চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ মাঠ সংলগ্ন এলাকার আজিজুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে কলেজ মাঠসহ কলেজ-পুরাতন সাতক্ষীরা সড়ক তলিয়ে গেছে। একে তো সড়কটি চলাচলের অযোগ্য, তার উপর বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছে মানুষ।
মাছখোলা এলাকার বাসিন্দা সাকিবুল হাসান বলেন, কলেজ রোডসহ হাঁটু পানি হয়ে গেছে। পানির মধ্যে গাড়িগুলাও চলেও না। গেলে যে দুইটা করে নিয়ে বের হতে হয় চেঞ্জ করে আরেকটা পড়তে হয় এমন একটা অবস্থা। এই হাঁটুপানি দিয়েই মোটরসাইকেল দিয়ে যাতায়াত করা অনেক কষ্টকর। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থা যে, চলাচল করতে গিয়ে মানুষ দুর্ঘটনার শিকারও হতে পারে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাতক্ষীরা পৌরসভায় কার্যকর কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমনিতেই পৌরসভার রাস্তাঘাটের বেহাল দশা। তার ওপর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে দুর্ভোগ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এসব বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার!
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে সাতক্ষীরায়। এ অবস্থায় সাতক্ষীরা জেলাকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, আপনারা অবশ্যই জেনেছেন যে আমাদের টেন্ডার করা রয়েছে পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে। ড্রেনগুলো না হওয়া পর্যন্ত কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পৌরসভার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের দ্বারা যে সকল ড্রেনগুলো বন্ধ রয়েছে সেগুলো সচল করতে কাজ করছি।