রাজধানী তুরাগের বাউনিয়ায় ৬ জুন মঙ্গলবার ফাতেমা আক্তার মুক্তা (৩৩) নামে এক নারীর বিবস্ত্র রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে তুরাগ থানা পুলিশ।

পরে হত্যা রহস্য উদঘাটনে শুরু হয় তদন্ত। বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী ও প্রথম স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে তাদের তথ্য মতে ভিকটিমের চতুর্থ স্বামী সাইফুল ইসলাম রানাকে খুজতে থাকে। এক পর্যায়ে আজ সকালে বসুন্ধরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় তুরাগ থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন, বুক ঝলসানো এবং বিবস্ত্র অবস্থায় ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, নিহত ওই নারীর বিয়ে হয়েছিল ৪ টি। সাইফুল ইসলাম রানা ছিলেন তার চতুর্থ স্বামী। ঘটনার পর থেকেই রানা পলাতক থাকায় তার দিকে সন্দেহ ঘনীভূত হয় এবং এক পর্যায়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তুরাগ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মওদুত হাওলাদার বলেন, এখনো হত্যার কারণ সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এবং তার প্রথম স্বামীকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। দ্বিতীয় স্বামী সাইদুল ইসলাম রানা পলাতক ছিলেন। আজ সকালে তাকেও বসুন্ধরা থেকে গ্রেপ্তার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায়, বাউনিয়ার মইশেরটেক এলাকার আদর্শপাড়ায় একটি ছয় তলা বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতো ফাতেমা। গত চার মাস আগে স্বামী সাইফুল ইসলাম রানাকে নিয়ে সেখানে উঠেন তিনি। রানা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস্ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি মাঝে মধ্যে ওই বাসায় যাতায়াত করতেন।

জানা যায়, গত ৬ জুন মঙ্গলবার সকালে ঘরের দরজার নিচ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে আসতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তাদের সন্দেহ হলে ঘরে উঁকি দিয়ে রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান তারা। পরে বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী বিষয়টি তুরাগ থানায় অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিতহ ফাতেমার ভোটার আইডি মারফর জানা যায় তিনি রাজধানী দক্ষিণখান আশকোনা পশ্চিমপাড়া এলাকার মুক্ত মিয়ার মেয়ে।

এ বিষয়ে তুরাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মাথায় লোহা বা ভারি কোন কিছুর আঘাতে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে তার। এ ছাড়াও মরদেহটি পোড়ানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্রাইমসিন ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

পরে মরদেহটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

বার্তাবাজার/রাআ