কোটা সংস্কার নিয়ে গড়ে উঠা আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে, হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন ৬ জন সাংবাদিক। তাদের মধ্যে ৩ সাংবাদিককে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে ২ নম্বর আসামীও করে মামলা হয়েছে। অপর ২ জনকে মারধর ও ১ জনকে লাঞ্চিত করা হয়েছে। এমন ঘটনায় মামলার আসামী হয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন সেসব সাংবাদিক।
গত ১৮ জুলাই লালমনিরহাটের হাতিবান্ধায় কোটা সংস্কারকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর আনন্দ টেলিভিশনের সাংবাদিক আব্দুর রহিমকে মারধর করেন এবং আরটিভির সাংবাদিক শাহ আলমকে লাঞ্চিত করে ছাত্রলীগ। একই সময় দৈনিক মানবকন্ঠ ও বাংলাদেশ জানার্লের প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সাজুর অফিসে হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এর আগে ১৭ জুলাই উপজেলার বড়খাতায় সাংবাদিক মাজাহারুল রিফাত নামে এক সাংবাদিককে মারধর করেন ছাত্রলীগ।
১৮ জুলাই কোটা সংস্কারকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় হাতীবান্ধায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু একটি মামলা দায়ের করেন।সেই মামলায় দৈনিক মানবকন্ঠ ও বাংলাদেশ জানার্লের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু ও কলকাতা টিভির সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাকে আসামী করা হয়। এছাড়া পৃথক ঘটনায় লালমনিরহাট সদরের একটি মামলায় সাব্বির আহমেদ লাভলু নামে এক সাংবাদিকেও আসামী করা হয়েছে।
দৈনিক মানবকন্ঠর সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজুর স্ত্রী শারমিন জামান মেরী বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান,আমার বাবাও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। ছাত্র জীবনে আমি মিছিল মিটিং করেছি। এখন আমার স্বামী আওয়ামীলীগে নেতার করা মামলায় বাড়ি ছাড়া হয়েছেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়েই মামলার জালে আটকে গেছেন আমার নিরপরাধ স্বামী। আমি ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।এবিষয়ে জেলায় কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকগণ দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সাথে আলোচনা করে শিঘ্রই প্রতিবাদ কর্মসুচীর কথা জানান।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলা ও মামলার আসামী করার বিষয়টি আমরা অবগত হয়েছি। পুলিশ বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন।