কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তৈরি হওয়া সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে তিন দিনের সাধারণ ছুটির পর আজ অন্য সব অফিসের মতো ব্যাংকও খোলা থাকবে। তবে কোন কোন শাখা খোলা রাখা হবে ব্যাংকগুলো নিজ বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে। আজ বুধবার ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হবে। স্বাভাবিক সময়ে ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হয়। ব্যাংক খোলা থাকার পাশাপাশি ইন্টারনেট চালু থাকা সাপেক্ষে আজ থেকে শেয়ারবাজারেও লেনদেন হবে।
জানা গেছে, কারফিউ শিথিল রেখে আজ বুধবার থেকে সব অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক, বীমা কোম্পানি ও সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানও খোলা থাকবে। এর আগে গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার সাধারণ ছুটির মধ্যে কারফিউ শিথিলকালীন বন্দর এলাকার ব্যাংক শাখা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। অফিস ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা টেলিফোন বা এসএমএসের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এসব সিদ্ধান্ত জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ২৪ ও ২৫ জুলাই কারফিউ শিথিলকালীন বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা থাকবে। যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সারাদেশে সব ব্যাংকের নির্ধারিত শাখায় সীমিত আকারে সেবা দেওয়া হবে।ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বাত্ত্বিক ইসলাম সমকালকে জানান, শেয়ারবাজারে বেলা ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত লেনদেন হবে। প্রসঙ্গত, শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক সময়ে সকাল ১০টা থেকেবেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হয়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তৈরি হওয়া পরিস্থিতির মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ ঘোষণা করে সরকার। সাধারণত সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের চাপ বেশি থাকে। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় অ্যাপভিত্তিক অনলাইন ব্যাংকিং বন্ধ। ব্যাংক থেকে এমএফএসে টাকা স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। এটিএম বুথ খোলা রাখতে সমস্যা না থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে অনেক বুথ বন্ধ রয়েছে। আবার ঝুঁকির কারণে অনেক বুথে টাকা ঢোকাতে পারছে না ব্যাংক। আজ থেকে পরিস্থিতির উন্নতির আশা করা হচ্ছে।