কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে গত ৫ দিন ধরে মিরপুর-১০ নম্বর সহ আশপাশের এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) পুরো মিরপুর জুড়ে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করেছে। এদিকে সকাল থেকেই মিরপুর ১, ২, ১০, ১১ ও ১২ নম্বর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশী করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে পুরো মিরপুর ১০ নম্বর যেনো ধ্বংস্তুপে পরিনত হয়েছে।
গতকাল সরেজমিনে এ চিত্র দেখা গিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মিরপুর ১ নম্বর সনি সিনেমা হলের সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। যেই কাজের জন্য বের হচ্ছে তাকেই পুরোপুরি তল্লাশী করা হচ্ছে। কেনো এবং কি কাজে বের হচ্ছে তাও জিগাসা করা হচ্ছে।
দুপুর ১ টা পর্যন্ত জরুরি কাজ ছাড়া কাউকেই সনি সিনেমা হল পার হতে দেওয়া হয়নি। শুধু সনি সিনেমা হল নয়, পুরো মিরপুরেই এই একই চিত্র দেখা গিয়েছে। আর মিরপুর ১০ নম্বরে দুইটি সাজোয়ার যান দিয়ে পাহাড়া দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এদিকে আজ পরিবেশ শান্ত থাকায় ধ্বংস্তুপের চিহ্নগুলো স্পষ্ট হতে শুরু করেছে।
মিরপুর ২ নম্বর এলাকায় ছিলো পুলিশ বক্স। এটি ২ নম্বর সিগন্যালে থাকা ট্রাফিক পুলিশদের জন্য ব্যবহার করা হতো। গত বৃহস্পতিবারের আন্দোলনে এটি পুড়িয়ে দেয় দুবৃত্তরা। এখন টিনের বক্সটি রয়েছে। ভিতরে ছাই ছাড়া আর কিছুই নেই।
মিরপুর ২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর রাস্তায় আন্দোলনকারীদের পুরানো কাঠ, বাশ সহ অন্যান্য জিনিস পোড়ানোর দাগ এখনো রয়ে গেছে। তবে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা এখন পুরো রাস্তা পরিস্কার করছে। মিরপুর ১০ নম্বর গেলে চোখে পুড়ে গত বৃহস্পতিবারের আগুনে পুড়ে যাওয়া পুলিশ বক্স ও ওভারব্রিজ। পুলিশ বক্সটি এখন পুরোপুরি ধ্বংস্তুপে পরিনত হয়েছে। আর ১০ নম্বর ব্রিজের উপরের অংশের অনেক জায়গায় ভেঙ্গে গিয়েছে। মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১৪ নম্বরে গেলে চোখে পড়ে বিআরটিএর ভবন। এই ভবনটিও আগুনে পোড়ানো ও ভাংচুর করা হয়েছে। অন্যদিকে মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ১১ নম্বরের দিকে গেলে চোখে পড়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিস। সেই অফিসে ২০টি বর্জ্য নিরসনের গাড়ি পুড়িয়েছে দুবৃত্তরা। গাড়িগুলো এখনো সিটি করপোরেশনের ভিতরে রয়েছে। পোড়া গাড়িগুলো দেখার জন্য সাধারণ মানুষদেরও ভিড় করতে দেখা গেছে।