জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকায় মারধরের শিকার হন তিনি।

আহত ওই সাংবাদিক এবং প্রত্যাক্ষদর্শী একাধিক সংবাদকর্মী সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষ চলাকালে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে আহত কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবাসে করে নতুন কলা ভবন থেকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি মুরাদ চত্বর সংলগ্ন যাত্রী ছাউনির সামনে পৌঁছালে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গাড়িটি থামান। গাড়ির ভেতরে তখন অন্তত ৭জন আহত শিক্ষার্থী ছিলেন।

এ সময় গাড়ির সামনের দুইপাশের দুটি জানালা দিয়ে ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীদেরকে এলোপাতাড়ি ঘুষি এবং শটগানের বাট দিয়ে আঘাত করতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন এগিয়ে গিয়ে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় ৭-৮ জন পুলিশ মামুনকে গালি দিয়ে একইভাবে মারতে শুরু করে। কয়েকদফা মারধরের পর মামুন সেখান থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে থাকলে তার দিকে লক্ষ্য করে ইট ও একাধিকবার গুলি ছোড়ে পুলিশ। তখন ঘটনাস্থলে অন্তত দেড়শ পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিল। তবে সাংবাদিককে পেটানো পুলিশ সদস্যদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস ও ট্রাফিক, উত্তর বিভাগ) আব্দুল্লাহেল কাফি। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি খোঁজখবর নিচ্ছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রধান মেডিকেল অফিসার মো. শামছুর রহমান বলেন, ‘মামুনের মাথায়, ঘাড়ে, পিঠে ও পায়ে আঘাত লেগেছে। মাথায় হালকা কেটে গেছে। রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ হয়েছে। তবে গুরুতর কোনো আঘাত না লাগায় আপাতত শঙ্কামুক্ত রয়েছে।’