পড়ন্ত বিকেল। কর্মজীবী মানুষ ফিরছে ঘরে। তবে একটি চক্র ব্যস্ত রাতে কবর থেকে চুরি করে লুকিয়ে রেখে যাওয়া মানবদেহের কঙ্কাল নিয়ে যেতে। এমন একটি ভয়ংকর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় পৌরসভার নুরজাহানপুর এলাকা থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদেরকে আটক করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) অসীম কুমার মোদকের নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল। তার আগে পুলিশকে দেখে দিকবেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে তারা। পরে পুলিশ দৌঁড়িয়ে তাদেরকে আটক করে।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ গ্রামের মৃত মনছের আলী মৃধার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪৫), পলাশবাড়ী উপজেলার কিশামত-চেরেঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩১) এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খাগড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (৪২)।

সন্দেহভাজন আটক ৩ ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নিজেদেরকে কঙ্কাল চোর বলে দাবি করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবব্রত রায়ের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পৌরসভা এলাকার নুরজাহানপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানের পাশের একটি ঘাসের জমি থেকে ১ বস্তা হাড় উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বস্তায় চারটি কবর থেকে চুরি করা মানবদেহের কঙ্কালের অংশ বিশেষ রয়েছে। একই জায়গা থেকে পৃথক আরেকটি ব্যাগে কবর খননের কাজে ব্যবহারিত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখালবুরুজ গ্রামের মৃত মনছের আলী মৃধার ছেলে জহুরুল ইসলাম (৪৫), পলাশবাড়ী উপজেলার কিশামত-চেরেঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩১) এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খাগড়বাড়িয়া গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার ছেলে লালন মিয়া (৪২)।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আটক ব্যক্তিদের কাছে থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তারা চক্রের বেশ কয়েকজনের নাম আমাদেরকে দিয়েছে। আমরা তাদেরকে আটকে কাজ করছি। এই ঘটনায় নুরজাহানপুর কবরস্থান কমিটির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করেছে। বুধবার আসামীদেরকে দিনাজপুরের আদালতে পাঠানো হয়েছে।