সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষারে কাইয়ুম হাসান ইমরান নামের এক ছাত্রলীগ নেতা পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে কাইয়ুম হাসান ইমরান ফেসবুকে পোস্ট করে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন।পদত্যাগ করা ছাত্রলীগ নেতা কাইয়ূম হাসান ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বে ছিলেন।

জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে গোটা দেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। কেউ আবার কোটা সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে মহিষার ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম হাসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেন।

এরপর দিনগত রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের লোগো সম্বলিত একটি প্যাডে পদত্যাগ করে ফেসবুকে আপলোড করেন। যেখানে লেখা ছিল,আমি কাইয়ুম হাসান ইমরান সাধারণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছে। তাদের কর্মকাণ্ডে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আমি আমার মহিষার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

জানতে চাইলে কাইয়ুম হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সময়ের ছাত্রলীগ সম্পর্কে পড়েছি, জেনেছি তাই আমি ছাত্রলীগকে ভালোবাসতাম। কিন্তু এখনকার ছাত্রলীগ আগের মতো নয়। এজন্য আমি নিজেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ সময় তিনি কোটা আন্দোলনের বিষয়টি সামনে এনে বলেন, গতকালের কোটা আন্দোলনে ঘটে যাওয়া বিষয়টি মানার মতো নয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অন্যায়ভাবে কিছু দাবি করলে তা দেখার জন্য প্রশাসন রয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ সরাসরি ক্ষমতা খাটাতে পারে না। যেহেতু ছাত্রলীগ সংবিধান অনুযায়ী চলছে না, তাই আমি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করছি।

বিষয়টি নিয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন হিরু বলেন, কাইয়ুম হাসান ইমরানের ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে আমার মনে হয়েছিল, পদত্যাগের বিষয়টি কোটা আন্দোলনের না। ও মূলত ভুলভাল চিন্তাচেতনা থেকে এ ধরনের পোস্ট করেছে। কোটা আন্দোলন এখন সাধারণ ছাত্রদের হাতে নেই। বর্তমানে কোটা আন্দোলন ছাত্রদল ও জামাতের হাতে।

এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর বলেন, কাইয়ুম হাসান ইমরানের পদত্যাগের বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাছাড়া তার পদত্যাগে ছাত্রলীগের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না। ছাত্রলীগ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সংগঠন, এ সংগঠনে অনেকে আসবে যাবে।