পটুয়াখালীতে চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক এ্যাড. ইকবাল মাহমুদ লিটনের সাথে অশোভন মূলক আচরণ ও বাসটার্মিনালে চেয়ারম্যান পরিবহনের টিকিট কাউন্টার ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেতাদের বিরুদ্ধে। ৭ জুন বিকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ অশোভন মূলক আচরণ এবং পটুয়াখালী বাস টার্মিনালে টিকিট কাউন্টার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। পরে এবিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক এ্যাড. ইকবাল মাহমুদ লিটন।

জানাগেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর থেকেই পটুয়াখালীর দুমকি, বাউফল, গলাচিপা এবং দশমিনায় পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশাল বাস মিনিবাস মালিক সমিতি ও পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি। যার ফলে ঐ চার উপজেলার লোকদের পরতে হয় ভোগান্তিতে। আর সেই সমস্যা সমাধানে ৭ জুন বুধবার বিকাল তিনটায় জেলা প্রশাসকের দরবার হলে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সকল মালিক, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং পরিবহন মালিকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন জেলা প্রশাসক মোঃ শরিফুল ইসলাম। আলোচনায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি দূর করতে চার উপজেলায়ই পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক এ্যাড. ইকবাল মাহমুদ লিটন ও গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন শাহ দাড়ালে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আলী হোসেন নামের এক ব্যাক্তি তাদের সাথে গালাগাল করতে থাকেন এবং দেখিয়ে নেয়ার হুমকি দেন।

চেয়ারম্যান পরিবহনের মালিক এ্যাড. ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, দরবার হলের আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দাড়ালে বাস মিনিবাস মালিক সমিতির কতিপয় নেতার ইঙ্গিতে আলি হোসেন নামে এক মিনিবাস মালিক আমি এবং গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন শাহ্ র সাথে অশোভন মূলক আচরণ করে। পরে সেখানে থেকে বাস টার্মিনাল গিয়ে তারা আমার (চেয়ারম্যান পরিবহন) আটটি গাড়ির টিকিট, কাগজপত্র, নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং টিকিট কাউন্টার ভাংচুর করে। এছাড়াও গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয় তারা।

এবিষয়ে পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা বলেন, বাস মিনিবাস মালিকদের উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন এ্যাড. লিটন তখন কথা কাটাকাটি ও হাল্কা ধাক্কাধাক্কি হয় লিটনের সাথে। পরে দু পক্ষ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এছাড়া তখন এ্যাড.লিটন ও গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন শাহকে নাকি চড় থাপ্পড় দেয় বাস মিনিবাস মালিকর সমিতির মালিকরা এমন প্রশ্নে রিয়াজ মৃধা বলেন, আসলে এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এরকম কিছুই হয়নি।

এছাড়া জেলা প্রশাসক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আগামী দুদিনের মধ্যে বাস চলাচল এবং উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধানের পথ তৈরি হবে বলে আশা করছি।

বার্তা বাজার/জে আই