মালয়েশিয়ায় এক পুলিশ সদস্যের হাতে তার প্রেমিকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী নির্মম ভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খুন হওয়া ঐ প্রেমিকার নাম নূুর ফারাহ কার্তিনী আবদুল্লাহ(২৫),
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে সেলাঙ্গর পুলিশের প্রধান দাতুক হোসেন ওমর খান এক সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় গণমাধ্যম কে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নুর ফারাহ এর মরদেহ হুলু সেলাঙ্গর এলাকার কাম্পুং শ্রী ক্লেদাং এর একটি নির্জন পাম বাগানে অর্ধগলিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তার মরদেহ সনাক্ত করার জন্য নিহতের প্রেমিক এক পুলিশ সদস্য কে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে এর আগে ঐ পুলিশ সদস্য কে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হলে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পায়। ঐ পুলিশ সদস্যের বয়স ২৬ বছর কিন্তু এসময় তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, নুর ফারাহ কার্তিনী আবদুল্লাহ একজন গ্রাজুয়েট তরুণী, যিনি ইউনিভার্সিটি পেন্ডিডিকান সুলতান ইদ্রিস (ইউপিএসআই) এর প্রাক্তন ছাত্রী ছিলেন, তিনি সফলতার সাথে মাল্টিমিডিয়া বিষয়ে স্নাতক শেষ করেছিলেন। গত এক সপ্তাহ আগে বুধবার নুর ফারাহ একটি গাড়ী ভাড়া নিয়ে তা ব্যবহার করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরিবারের মামলার দায়েরের পর নুর ফারাহ এর খোঁজে পুলিশ মাঠে নেমে জানতে পারে তারই সন্দেহভাজন প্রেমিক এক পুলিশ সদস্য এ ঘটনায় জড়িত। পরে তাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে খুনের মোটিভ প্রকাশ পায়।
নুর ফারাহ কার্তিনী আবদুল্লাহর দেশটির সারাওয়াক রাজ্যের বাসিন্দা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পড়ার সময় পড়াশোনার উচ্চ ব্যয় মেটানোর জন্য দিনে রাতে কঠোর পরিশ্রম করে চাকুরী করেছিলেন। তিনি অত্যান্ত নম্র ও সৎ ভাবে জীবন যাপন করতেন। নুর ফারাহ কার্তিনী আবদুল্লাহ কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তার প্রেমিক ঐ পুলিশ সদস্য। যিনি ৫ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পুলিশ বাহিনী তে কর্মরত ছিলেন। তবে কেন নুর ফারাহ কে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করা হল এবিষয়ে পুলিশ জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তারা আরও তদন্ত করছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।
পাম বাগনের একটি ঝোপজাড় থেকে নুর ফারাহ এর অর্ধগলিত মরদেহটি সনাক্তকরণে তার প্রেমিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ কে সহযোগিতা করেন। এসময় ভিকটিম নুর ফারাহ, যিনি সারাওয়াকের বাসিন্দা, মরদেহটি সর্বশেষ নীল কর্পোরেট পোশাক, একটি হিজাব এবং কালো স্ল্যাক পরিহিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই হত্যার ক্লু উদ্ধারের পর সারাদেশে গণমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।