পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা রোগী বহনকারী এ্যাম্বুলেন্স থেকে মাসিক চাঁদা তোলার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী (লেবার সর্দার) জাফরের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজার কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন পটুয়াখালী এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি।

জানাগেছে, পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি মাত্র সরাসরি এ্যাম্বুলেন্স থাকায় রোগীরা নানান সমস্যায় পড়ে আসছিলো। তবে বেসরকারী এ্যাম্বুলেন্স থাকায় সেই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতো বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এছাড়া অনেক আগে থেকেই রোগীদের সেবা প্রদানের জন্য হাসপাতালের ভেতরে প্রায় ৪৪টি এ্যাম্বুলেন্স রাখা হতো। হাসপাতালের ভেতরে এ্যাম্বুলেন্স রাখার কারনে গড়প্রতি মাসে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের কাছ থেকে ৪০০/৫০০ চাঁদা নিতো লেবার সর্দার জাফর। কিন্তুু গতকাল শনিবার মাসের চাঁদা টাকা দিতে না পারায় এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারদের গালিগালাজ করে হাসপাতালের এরিয়া থেকে এ্যাস্বুলেন্স বের করে দেয় জাফর। এরপরই জাফরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন এ্যাম্বুলেন্স মালিক ও ড্রাইভাররা এবং বন্ধ করে দেন যাত্রী সেবা। পরে রবিবার দুপুরে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে জাফরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত অভিযোগ দেন পটুয়াখালী এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি।

তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে লেবার সর্দার জাফর বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি ড্রাইভারদের থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ্যাম্বুলেন্স সরাতে বলছে তাই আমি ড্রাইভারদের হাসপাতালের ভেতর থেকে এ্যাম্বুলেন্স সরাতে বলেছি ড্রাইভারদের।

এছাড়া জাফরের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন সময়ে একাধিক অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য ক্ষমতাবলে একই জায়গায় রয়েছে। জাফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও কোন ব্যবস্থা নেয় না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। উল্টো হতে হয় জাফরের দ্বারা হয়রানির শিকার।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, জাফরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।