ইতালির শ্রম ও অভিবাসী নিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত জুনের শেষের দিকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি বলেছিলেন, মাফিয়া গ্রুপগুলো মুনাফার জন্য ভিসা ব্যবস্থাকে শোষণ করছে।
তার এমন অভিযোগের কয়েক সপ্তাহ যেতে না যেতেই বুধবার দেশটিতে অভিবাসী ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে ৪০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বুধবার ইতালির পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ইতালির পুলিশ ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে ৪৪ জনকে আটক করেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২৪ জনকে গৃহবন্দির পাশাপাশি সাতজনকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের যেমন,অবৈধ অভিবাসন, অর্থপাচার ও মিথ্যা চালান তৈরির লক্ষ্যে অপরাধমূলক সংস্থা গঠনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া আরও ১০ সন্দেহভাজনকে দেশটিতে এক বছরের জন্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশটির নেপলসের কাছের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর সালেরনোর প্রসিকিউটরদের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজনরা অভিবাসীদের পক্ষে প্রতারণামূলক ভিসা আবেদন করেছিলেন; যাদের এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগকর্তাদের স্পনসরশিপ প্রয়োজন।
প্রসিকিউটররা বলেছেন, সন্দেহভাজন ও গ্রেপ্তার কৃতরা ২০২০ সাল থেকে ‘‘অস্তিত্বহীন বা মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে’’ প্রায় আড়াই হাজার আবেদন জমা দিয়েছেন। ইতালির বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রত্যেক অভিবাসীর কাছ থেকে ৭ হাজার ইউরো করে নেওয়া হয়েছে।