মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর স্বশস্ত্র সংঘাত পরিস্থিতে নাফ নদ পার হয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে ফের আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) শতাধিক সদস্যরা। এদের মধ্য দেশটির সেনা সদস্যও রয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের তিনটি পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে তারা। এর আগে গত শুক্রবার সেন্টমার্টিনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের ২ বিজিপি সদস্য সহ ৩১ রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, কিছু সংখ্যক বিজিপি সদস্য এপারে আশ্রয় নিয়েছে বলে শুনেছি। পরে তাদেকে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে কোন আনুষ্টানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
টেকনাফের নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) তপন কুমার বিশ্বাস জানান, টানা কয়েকদিন ধরে রাখাইনে আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষে দিন-রাত ভারী গোলার বিকট শব্দ শুনা গেলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেমন বড় কোন শব্দ শোনা যায়নি।
এদিকে বরাবরের মতো টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন করে কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সীমান্ত পরিস্থিতি সার্বক্ষনিক বিজিবির দজরদারীতে রয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।