শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে চলা আন্দোলনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন ঘিরে ছাত্রলীগও মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে শাহবাগ, তেজগাঁও কলেজের সামনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রামপুরা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, আজকে কোনোভাবেই রাস্তা দখল করে আন্দোলন করতে দেওয়া হবে না শিক্ষার্থীদের। হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে আর কাউকে রাস্তায় অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ. মহিদউদ্দিন সমকালকে বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পরে তাদের বোধোদয় হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তারপরও আজকে যদি তারা রাস্তা দখল করে আন্দোলন করার চেষ্টা করে, তাহলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে জিম্মি করে জনসাধারণের সাধারণ জীবনযাত্রার ব্যাঘাত ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার চেষ্টা হলে ছাত্রলীগ রুখে দাঁড়াবে।
অন্যদিকে আজ দুপুর আড়াইটায় ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক পরিবেশ অব্যাহত রাখা, জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে আসা এবং কোটা ইস্যুর যৌক্তিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ইতিবাচক সমাধানের দাবিতে’ রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ ডেকেছে ছাত্রলীগ। এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ৩টায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সারাদেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি রয়েছে।