নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনার জন্য কাউকে বলা হয়নি, আহ্বান করা হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের আলোচনাসভায় তিনি এ কথা জানান।

আমির হোসেন আমু বলেন, নির্বাচন ইস্যুতে কাউকে আহ্বান করার সুযোগ নেই। এটা আওয়ামী লীগের বাড়ির দাওয়াত নয়, যে দাওয়াত করে এনে খাওয়াব।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে বারবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। সেই নির্বাচনে জাতিসংঘ থেকে তারানকোকে (জাতিসংঘের সাবেক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো) পাঠানো হয়েছিল। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে আমরা তাদের সামনে প্রমাণ করেছিলাম নির্বাচন না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। একটি দেশের জন্য সাংবিধানিক শূন্যতা কাম্য হতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, সেদিনও তোমরা (বিএনপি) আলোচনায় পরাজিত হয়েছিলে। ফলে আমাদের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছিল। ধারাবাহিকভাবে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আজকেও নির্বাচন হবে সংবিধানের ভিত্তিতে। কোনোভাবেই দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেওয়া যাবে না।

১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেটা তিনি করবেন। নির্বাচন হবে সংবিধানের ভিত্তিতে। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামীতে ক্ষমতা কার হাতে থাকবে সেটা জনগণ নির্ধারণ করবে।

এর আগে মঙ্গলবার ১৪ দলের এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে আমির হোসেন আমু সংলাপ নিয়ে বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই। প্রয়োজনে অতীতের মতো জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের মধ্যস্থতায়ও সেই আলোচনা হতে পারে।

বার্তা বাজার/জে আই