মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় রাখার দাবিতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (০৭ জুন) দুপুরে মানারাত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস আশুলিয়ায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকবৃন্দ এই মানববন্ধন করেন।

উদ্বেগ প্রকাশ করে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, যেখানে কলা অনুষদের ডিন স্যার নিজেই বলেছেন, গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে ৮টি মামলা চলমান। তাহলে কিভাবে তারা আমাদের গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে যেতে চায়। তাদের এধরনের কার্যক্রম দেখে মনে হচ্ছে তারা আমাদের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যত নিয়ে ছেলে খেলা করতে চাইছে।

এছাড়াও তারা বলেন, গুলশানের মতো জনবহুল এলাকায় যাতায়াতে পোহাতে হবে বিশাল বিশাল জ্যামের ধকল। এরপর আর ক্লাস রুমে মনযোগ দেওয়ার মতো শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা থাকে না। ছোট ওই ক্যাম্পাসে নেই খেলার মাঠও। তাছাড়া আমাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যয়ভারও অনেক বেড়ে যাবে।

এসময় অভিভাবকরা বলেন, আমরা এই এলাকায় বসবাস করি। বাসার পাশেই ক্যাম্পাস জন্য ছেলে-মেয়েদের এখানে ভর্তি করিয়েছি। যেনো যাতায়াতে খুব বেশি কষ্ট করতে না হয়। আর এই এলাকাটা কোলাহল মুক্ত, যেটা শিক্ষার জন্য অনুকূল পরিবেশ। কিন্তু এখন শুনছি কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস স্থানান্তর করতে চাইছে। ওই এলাকাটা মোটেও শিক্ষার জন্য উপযুক্ত নয়।

তারা আরো বলেন, যেখানে তারা নিজেরাই বলছে গুলশান ক্যাম্পাস নিয়ে একটা বা দুইটা নয় আটটি মামলা চলমান। তাহলে সেখানে ক্যাম্পাস পরিবর্তন করে কি তারা আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিতে চাইছে?

এসময় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা বিশ্বাস করে আমাদের সন্তানদের তাদের কাছে দিয়েছিলাম শিক্ষা দিতে। কিন্তু তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে, আমাদের ছেলে-মেয়েদের জীবনকে ধ্বংসের পায়তারা করছে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ছাত্রদের হুমকি দিচ্ছেন। যে সকল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের ডেকে ডেকে বিভিন্নভাবে হেনেস্তা করছেন। তার মধ্যে ট্রিপলি ডিপার্টমেন্টের সাঈদ ইসলাম, আইন আনুষাদের হেড আজহারুল ইসলাম, ফার্মাসি অনুষাদের হেড নার্গিস সুলতানা এবং সকল শিক্ষকদের পিছন থেকে লিড দিচ্ছেন কলা অনুষাদের ডিন ড.ওবায়দুল্লাহ।

সবশেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

এর আগে গত সোমবার (২৯ মে) তারিখেও আশুলিয়ায় স্থায়ী ক্যাম্পাস রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছিলো শিক্ষার্থীরা।

বার্তাবাজার/আরসি