ভালোবেসে প্রেমিকের সাথে পালিয়ে বিয়ের তিন মাস পরেও মেয়ের পরিবারের মামলাবাজি থেকে রেহাই পেলোনা জামাই হাসান। মেয়ের পরিবারের দায়ের করা কথিত অপহরণ মামলায় কারা ভোগ করছে হাসান ও তার বড় ভাই। নিরুপায় হয়ে আদালতে হাজির হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে পরিবারের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে আইনী লড়ইয়ে নেমেছেন কথিত ভিকটিম জয়নাব হোসেন।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, অসম প্রেমের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে কক্সবাজার শহরের বদর মোকাম এলাকার ১৯ বছর বয়সী জয়নাব হোসেন গেলো ১৪ মার্চ কক্সবাজার সদর উপজেলার হাসানের সাথে চট্টগ্রাম আদালতে গিয়ে গোপনে নোটারী সম্পন্ন করেন। তার ঠিক এক মাস পর ১৫ এপ্রিল গোপনে দ্বিতীয় দফায় চট্টগ্রাম কাজী অফিসে গিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক নিকাহ রেজিস্ট্রি করে উভয়েই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।

স্বামীর সাথে চট্টগ্রাম কয়েকদিন অবস্থা করে আবারো বাড়িতে ফিরে আসে। এসব জানাজানি হওয়ার পর আপন চাচার চাপে পরিবার থেকে অন্যত্র জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে ২৬ মে স্বামী হাসানের হাত ধরে পালিয়ে যায় জয়নাব। ঘটনার এক সপ্তাহ পরে জয়নাবকে অপহরণ করা হয়েছে দাবী করে ৩ জুন জয়নাবের চাচা হাসান বাদী হয়ে জয়নাবের স্বামী হাসান ও শশুর ইয়াকুব সহ পাঁচ জনকে আসামী করে কক্সবাজার থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় হাসান ও তার বড় ভাইকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এই ঘটনার পরে জয়নাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে সে কারো প্ররোচনা বিহীন স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে হাসানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে দাবী করেন। এমনকি মামলার বাদী চাচা হাসানের হাতে জয়নাবের প্রবাসী বাবা সম্পত্তির ফাঁদে জিম্মি বলে অভিযোগ তুলেন।

গত ৮ জুলাই জয়নাব হোসেন কক্সবাজার আদালতের বিচারক ফাহমিদা সাত্তারের আদালতে চাচা হাসানের দায়ের করা মিথ্যা মামলার বিরুদ্ধে একটি পিটিশন দায়ের করেন। সেখানে জন্ম নিবন্ধনে জয়নাবের বয়স ৯ অক্টোবর ২০০৬ উল্লেখ রয়েছে। পরে বিজ্ঞ আদালত বয়স নিশ্চিত হওয়ার জন্য মেডিক্যাল রিপোর্ট তৈরীর আদেশ দেন। এছাড়াও আদালতের জ্ঞিসাবাদে জয়নাব পরিবারের সাথে যেতে নারাজ হলে পুলিশের জিম্মায় দেয়া হয়।

এদিকে, জয়নাবের অভিযোগ মামলার বাদী হাসান মেডিকেল রিপোর্টে বয়স কমানোর জন্য পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী আরাফাত নামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে মোটা অংকের মিশনে নেমেছেন। তবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের একটি দায়িত্বশীল সূত্র এধরনের কোন সুযোগ নেই এবং আইনী প্রক্রিয়া মেনেই স্বচ্চ ভাবে আদালতে রিপোর্ট প্রধান করা হবে বলে জানিয়েছেন।