কোটা পুনর্বহাল–সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তবে তারা চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন পক্ষের কেউ নন বলে জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ মঙ্গলবার এই কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এতে বলা হয়, আমাদের এক দফা দাবি দেশের নির্বাহী বিভাগর কাছে। সংসদে আইন পাস করে সরকারি চাকুরির সব গ্রেডে সব ধরণের বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে শুধুমাত্র পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। এ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।
আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে কোনো আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের দাবি সরকার ও নির্বাহী বিভাগের কাছে। যারা আদালতে গিয়েছে নিজ উদ্যোগে গিয়েছে। এর সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
এর আগে এদিন আবেদন করার জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন ওই দুই শিক্ষার্থী। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম হলফনামা করার অনুমতি দেন।
আবেদনকারী ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া ও উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
অনুমতির পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান দুই শিক্ষার্থীর অন্যতম আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বুধবার শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারপতি আশফাকুল ইসলামের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।