বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী চীন সফরে যাচ্ছেন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে। বিশ বিলিয়ন ডলার তিনি চাচ্ছেন। আর চীনে যাওয়ার জন্য উনাকে অনুমতি নিতে হয়েছে। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীরা বলছেন—শেখ হাসিনা চীনে যাচ্ছেন তাতে ভারতের কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী চীন যেতে ভারতের সার্টিফিকেট নিতে হয়। তাহলে কোথায় আজ স্বাধীনতা?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও শ্রমিকদল নেতা সুমন ভূঁইয়াসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে শুক্রবার (৫ জুলাই) নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে শ্রমিক দল ঢাকা মাহনগরের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল-ফকিরাপুল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

রিজভী আরও বলেন, শ্রমিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আজ কাঁচা মরিচের দাম ৩২০ টাকা, শাকসবজির দাম সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। টমেটোর ডাবল সেঞ্চুরি পার হয়ে গেছে। শ্রমিকরা এই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যা কিনতে পারবে না। তিনি বলেন, এই যে অনাচার, জনগণের পেটে লাথি মেরে শেখ হাসিনা সরকারী কর্মকর্তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন কোটি কোটি টাকা লুটপাটের। বেনজীর—আজিজদের শুধু এক/দুই কোটি টাকা নয়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছেন। সরকারী কর্মকর্তারা শুধু মুজিব কোট পরে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে তারা আজকে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন।

রিজভী আহমেদ আরও বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। সুমন ভুঁইয়াদের কারাগারে নিলে সবুজরা রাজপথে বের হবে। হামলা-মামলা-গ্রেপ্তার-নির্যাতন করে নেতাকর্মীদের দমন করা যাবে না। আপনার মূয়ুর সিংহাসন লুটেপুটে ভেঙে চুরমার করে দিবে জনগণ। একনায়কতন্ত্র কায়েম করে হিটলার-মুসোলিনিরা রেহাই পায়নি, আপনিও পাবেন না। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিন। সুমনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিন।

মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দলের সহ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, মামুন মোল্লা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, ওলামা দলের আহবায়ক সেলিম রেজা, সদস্য সচিব আবুল হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক রানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ডা. জাহিদুল কবির, শ্রমিক দলের সবুজ, শাহআলম, যুবদলের মেহেবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের ডা. আউয়াল, মাসুদুর রহমান, রাজু আহমেদ, ইমাম হোসেনসহ শ্রমিক দলের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী।