কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অটোরিকশা চালক সোহেল ওরফে বদর খন্দকার (৩৮) হত্যা মামলায় ৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ ও তাদের প্রত্যেককে দুইলাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতে এ রায় ঘোষণা দেন। কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু নাসের মো. ফারুক সঞ্জু এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, জেলার ভৈরব উপজেলার বাঁশগাড়ী গ্রামের মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে মো. কাজল (৩৪), ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে মো. জুয়েল মিয়া (২৫), ছনহুরা গ্রামের মো. আবু মিয়ার ছেলে মো. রাব্বানী (২৬) এবং একই এলকার মৃত আ: লতিফ মিয়ার ছেলে মো.লিটন মিয়া (২৬)।
মামলার এজাহার ও ঘটনার বিবরণ থেকে জানা গেছে,২০২০ ইং সালের (২২সেপ্টেম্বর) ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড় এলাকা থেকে সোহেল ওরফে বদর খন্দকারের অটোরিকশা ভাড়া করেন আসামিরা। এদিন রাত ৯ টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়কের কালিকাপ্রাসাদ এলাকায় অটোরিকশা চালক সোহেলকে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরদিন সকালে কালিকাপ্রসাদ এলাকা থেকে সোহেলের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর তার বাবা আব্দুল হান্নান খন্দকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ তদন্ত করে হত্যা মামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে। নিহত সোহেল ওরফে বদন খন্দকার কুলিয়ারচর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে। ২০২১ ইং সালের (২২নভেম্বর) আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কিশোরগঞ্জ পিবিআই এর পরিদর্শক মো. জামিল হোসেন জিয়া। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বুধবার বিকেলে এ রায় ঘোষণা করেন।