কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে ১৬ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ ওঠেছে।এ ঘটনায় সরুফা(৩০)নামের একজন মহিলাকে দেশীয় অস্ত্র বলম দ্বারা ঘা দিয়ে আহত করেছে।শনিবার (২৯ জুন) বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে গুনধর ইউনিয়নের উত্তর আশতকা বৌ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন উত্তর আশতকা গ্রামের রফিকুল(৩০), হামিদুল(২৫),জবু(৩২),গোলাপ(৫০),আনোয়ার (৩৫), ইদু(৪০) শফিকুল (৩৫),নবী (২৫), রিয়াতুল(২৬), নাহিদ(১৫) জসিম(৩৫), ধনু(৩৫) গিয়াস উদ্দিন(৪০), আব্দুল হামিদ(৮০), ঝুমা(১৮), মুসাদ্দিক(২) মতি(৩০)।

আহতদের করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুণধর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড উত্তর আশতকা ইউপি সদস্য আবু জুনায়েদ বাচ্চু বলেন,উত্তর আশতকা গ্রামের দুটি পরিবার পাশাপাশি বসবাস করে।তারা সম্পর্কে চাচা শ্বশুর।মাছ ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া গং ও হারিছ উদ্দিনের মধ্যে গত পাঁচ বছর ধরে সীমানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার সালিস হলেও কোন সমাধান হয়নি।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার, বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে বাড়ির সীমানায় মধ্যে একটি নারকেল গাছ নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত হয়।এক পযার্য়ে হারিছ উদ্দিনের পরিবারের কয়েকজন সদস্য দা সহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই প্রতিপক্ষ চাঁন মিয়াকে আঘাত করে।পাল্টা চাঁন মিয়ার পরিবারের কয়েকজন সদস্যসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ওই হারিছ উদ্দিনের পরিবারের ওপর পাল্টা আক্রমন করে।

খবর পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় ১৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রিয়াদ শাহেদ রনি বলেন,করিমগঞ্জে আহতদের ৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং অন্যদের কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার,২৯ জুন সন্ধ্যা ৭ টার দিকে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।গুনধর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু ছায়েম ভূঁইয়া রাসেল,গুনধর ইউপি সদস্য আবু জুনায়েদ বাচ্চু ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন

এসময় চাঁন মিয়া ও পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তারা ন্যায় বিচার দাবি করেন।