গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর যমুনা নদী থেকে ফারুক হোসেন (৫০) ও সোনা মিয়া (৫৫) নামের দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের যমুনা নদী নদীর দক্ষিণ গলনারচর ও বাইনকার চর থেকে পানিতে অর্ধগলিত ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এরআগে, বিগত বুধবার (২৬ জুন) রাতে কথিত আছে জুয়া খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওমর ফারুক ও সোনা মিয়া। ওমর ফারুক হোসেন ফুলছড়ি উপজেলার দক্ষিণ উদখালি গ্রামের মৃত নজলার রহমানের ছেলে এবং সোনা মিয়া কাতলামারি গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার রাতে উপজেলার কালিরক্যাশ নামক চরে জুয়া খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ফারুক ও সোনা‌মিয়া। পরে অনেক খোঁজখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এক পর্যায় শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে যমুনা নদী নদীতে তাদের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায। পরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

অন্যদিকে নিহত ফারুকের ভাই ফরিদের দাবি তার ভাইকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যা করা হয়েছে।

ফারুক বার্তা বাজারকে বলেন, তার ভাইয়ের সাথে মোসারফ, লাল মিয়া ও সাদা মিয়ার সাথে টাকা নিয়ে প্রায় সময়ই কথা কাটাকাটি হত।তবে যেদিন নিখোঁজ হয় আমার ভাই সেদিন এই তিনজনও ছিল।তবে বাকিরা ফিরলেও আমার ভাই ফিরে নি। এবিষয় এই তিনজন আমাদের পরিবারের কাউকে সেদিন জানায় নি। একদিন পর তারা জানায় এতেই তখন থেকেই সন্দেহ হচ্ছে তাদের উপর। এসময় প্রশাসনের কাছে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সাইদুর রহমান বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদীতে ভাসমান অবস্থায় ফারুক ও সোনা মিয়া নামের দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।