সততার ফেরিওয়ালা ছিলেন সদ্য অব্যাহতি পাওয়া রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান। যিনি ছাগলকাণ্ডে এসেছেন আলোচনায়, হয়েছেন সমালোচিত। প্রকাশ পেয়েছে তার নানা অনিয়ম আর অবৈধ সম্পদের পাহাড়ের চিত্র। আর সেখান থেকেই প্রশ্ন উঠেছে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এত সম্পদ কিভাবে হলো মতিউর রহমানের।

সেই সূত্রে তার সঙ্গে কাজ করা একাধিক কর্মকর্তা ও তার সংশ্লিষ্ট এক আইনজীবী সূত্রে জানা যায়, মতিউর সব বিষয়ে উৎকোচ বা ঘুষ নিতেন না। কেবল বড় অর্থ সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি থেকে গ্রহণ করতেন ঘুষ। যা সর্বনিম্ন এক কোটি টাকা। এর নিচে তিনি ঘুষ নিতেন না বলেও জানায় সূত্র।

সূত্র বলছে, কমিশনার থাকা অবস্থা থেকেই তাকে (মতিউরকে) তিনি ভালো করে চেনেন। এ সময়ে মতিউর বড় বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করতেন। এবং তার টার্গেট কখনো মিস হতো না বলেও জানায় সেই সূত্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, মতিউর রহমান ব্যবসায়ীদের পেছনে লেগে থাকতেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তার কাছে টাকা না পৌঁছায় ততক্ষণ পর্যন্ত মুক্তি মিলত না। আর টাকা না পেলে সব শেষ করে দিতেন তিনি।

মতিউর সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, তিনি অন্যকে সততার কথা বললেও নিজে ছিলেন পুরোদমে ভণ্ড। কথা ও কাজ বিপরীতমুখী। এভাবে ব্যবসায়ীদের রাজস্ব আদায়ের নামে হয়রানি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজের করে নিয়েছেন রাজস্ব বোর্ড থেকে অব্যাহতি পাওয়া কর্মকর্তা মতিউর রহমান।

গেল ১৬ জুন ঈদের আগের দিন দৈনিক দেশ রূপান্তরের অনলাইন ও ডিজিটাল বিভাগে ‘রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলের অর্ধকোটির কোরবানি ‘ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ পেলে সামনে আসতে শুরু করে মতিউর রহমানের অনিয়মে গড়া সম্পদের হিসেব। যার কারণে খোয়া গেছে রাজস্ব বোর্ডের সদস্য পদ আর সঙ্গে হারিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের পরিচালকের পদও। আর সবশেষে দেশা ছাড়ার নিষেধাজ্ঞা আসার পর থেকেই লাপাত্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবার। এর মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন ১২ লাখ টাকায় ছাগল কেনা মুশফিকুর রহমান ইফাত ও তার মা।