বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন, পাথর, ইটের খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ সড়কে চলাচল ও যাতায়াত করছে পথচারীসহ এলাকাবাসী। যে সড়কটির কথা বলছিলাম সেটি হল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঠানপাড়া মোড় থেকে ঠাকুর বাড়ীর মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটি পরিণত হয়েছে বেহাল দশা।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সদরে যেতে এক সময় প্রধান সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হত এই সড়কটি। বর্তমানে সরাইল নাসিরনগর লাখাই আঞ্চলিক সড়ক নির্মাণ হাওয়াই ওই পথ দিয়ে এখন বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করে। মাঝে মধ্যে ওই সড়কে যানজট সৃষ্টি হলে বিকল্প সড়ক হিসেবে বেঁচে নেই পাঠানপাড়া সড়কটি। সড়কটি ব্যবহার করতে এসে দেখে সড়কটির বেহাল দশা। বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও মালবাহী ট্রাক, পিকাপ ভ্যানসহ বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। পাশাপাশি সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এলাকাবাসীসহ হাসপাতালের রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

আলামীন নামে একজন পথচারী জানান, সড়কের মূল অংশ ভেঙে মাটি বের হয়ে গেছে। সড়কে চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে বেলা জরুরি রোগী হাসপাতালে যেতে হলে এলাকাবাসী বিপাকে পড়ে যায়। সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠা ও পরিচালক মাজেদুল হক সবুজ বলেন, এ সড়ক দিয়ে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাওয়া-আসা করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ইজিবাইক গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে। এখন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে তাদের আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা হোক।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার প্রকৌশলী এলজিইডি মো. আনিসুর রহমান ভুইয়া রাস্তাটির দুর্দশা কথা স্বীকার করে বলেন, সামনে রাস্তাটি অনুমোদন হলে খুব দ্রুত সংস্কার করা হবে।