নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের একটি ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির একদিন পর জামিন পেলেন হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইবুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে একই আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে পূর্ব নির্ধারিত শুনানির দিন ধার্য থাকলেও এদিন আদালতে অসুস্থতার জন্য উপস্থিত হতে না পারায় আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করেন মামুনুল হক। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁয় দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় গতকাল পূর্ব নির্ধারিত শুনানি দিন নির্ধারিত ছিল। তবে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে সময় প্রার্থনা করে উপস্থিত হননি। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন।আজ তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত এক হাজার টাকা বন্ডে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।

মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন জানান, মামুনুল হক অসুস্থ। তার অসুস্থতার কাগজপত্রসহ আমরা গতকাল আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেছিলাম। এ অসুস্থতার জন্য তিনি হাজির হতে পারেননি। আদালত আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সাথে অবস্থান করছিলেন মাওলানা মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে, ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।