ইহুদিবাদী দখলদার ইসরায়েলের নির্মম হামলায় ৩ ছেলের পর এবার পরিবারের ১০ সদস্যকে হারালেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ। এর আগে গত এপ্রিলে ঈদের দিন ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ার তিন ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যু হয়।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শাতি ক্যাম্পে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। গাজা সিটির কাছেই আল-শাতি ক্যাম্পে ইসরায়েলের হামলায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা। তবে এ বিষয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে খান ইউনিসে ত্রাণ নিতে যেয়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় ত্রাণবাহী ট্রাকের কর্মীসহ অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলা ও আগ্রাসনে অবরুদ্ধ গাজাতে চরম মানবিক বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষের উচ্চ ঝুঁকি দেখা দিয়েছে বলছে জাতিসংঘ। ইতিমধ্যে ৪ লাখ ৯৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি “বিপর্যয়কর” খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এদিকে ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুর খবরে (শহীদ হওয়ায়) আল্লাহর কাছে সেসময় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন হামাস প্রধান। তিনি বলেছিলেন, ‘তাদের শহীদ হওয়ার মর্যাদা প্রদান করায় আল্লাহকে ধন্যবাদ।’