কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যুবলীগ নেতার দুই হাত ভাঙ্গে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ১১ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করেছেন আহতের স্ত্রী মাহিয়া ইসলাম।

৫ জুন সোমবার রাত সাড়ে দশটায় এই মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত রয়েছে আরো ১৫/২০ জন। । মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, পলতাকান্দা এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে হামজা (২৪) সাবি মিয়া (২২), মাহিন ছিদ্দিকীর ছেলে সাদাফ (২২), মিজান ছিদ্দিকীর ছেলে স্বাধীন হায়া (২৩), পটল মিয়ার ছেলে সোহান মিয়া (২৪), মনা মিয়ার মেয়ের জামাতা আবুল কালাম (৫৫), আবুল কালাম মিয়ার ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২৫), ও ইসমাইল (২৩), সাত্তার মিয়ার ছেলে শরীফ মিয়া (২৮), মোবারক মিয়ার ছেলে কাদির মিয়া (৩৬), কালিপুর এলাকার কালা মিয়ার ছেলে ফরিদ মিয়া (২৮) সহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়।

আহত যুবলীগ নেতা শেহজাদ হাসান নাঈম (৩২) পৌর শহরের পলতাকন্দা এলাকার মৃত হিরণ মিয়ার ছেলে। নাঈম ভৈরব পৌর শহরের ১১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ভৈরব নৈশ মৎস্য আড়ত ব্যবসা সমবায় সমিতি’র পরিচালক। মামলার বিবরণে জানান যায়, ৪ জুন রোববার দিবাগত রাত ১১টায় পলতাকান্দা এলাকায় জালাল মিয়ার চায়ের দোকানে বসে ছিল নাইম।

এ সময় পৌর ছাত্রলীগ সভাপতি সালেহ রহমান মিকদাত ও পৌর ছাত্রদলের সভাপতি হিসাম এর দুই ভাই হামজা ও সাবীসহ আরো ১৫/২০ জন পরিকল্পিত ভাবে খেয়ালে থাকে। রাত ১১টার দিকে জালাল মিয়ার চায়ের দোকান চা খাওয়ার মুহুর্তে পরিকল্পিতভাবে নাঈমকে রড, লাঠি সোটা দিয়ে মেরে ফেলার জন্য তার হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এপাতারি ভাবে আঘাত করে। এতে তার একটি হাত ভেঙে গুড়া হয়ে যায়। আরেকটি হাতে ফেটে যায়। পরে তাকে রাত ১২টার দিকে স্থানীয়রা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সালেহ রহমান মিকদাত জানান, একটি মাছের ঘের নিয়ে কালাম নামের এক লোকের সঙ্গে তার বিবাদ আছে। এর জেরে হামলা হতে পারে। তাকে মারধরের সময় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার দাবিও করেন তিনি।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম মামলার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, ৫ জুন রাতে আহতে স্ত্রী ১১ জনের নাম উল্লেখ্য ও ১৫/২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ তৎপর রয়েছে।

বার্তাবাজার/রাআ